বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় তিনি এ কথা বলেন।
রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের বাণিজ্যিক যোগাযোগ এ পথের মাধ্যমেই হবে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশীদের হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি তারা নিজেরা সমন্বয় করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব আনিতা বারিক, প্রটোকল অফিসার অমরিশ কুমার, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী প্রমুখ।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের দূরত্ব হবে ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে আখাউড়া রেল জংশন স্টেশন থেকে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন হয়ে ত্রিপুরা সীমান্ত পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার। ত্রিপুরা রাজ্যের নিশ্চিন্তপুর হবে দুই দেশের সীমান্ত স্টেশন। সীমান্ত থেকে আগরতলা রেলস্টেশন পর্যন্ত হবে পাঁচ কিলোমিটার।
২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথম এই রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ত্রিপুরার অংশে এই রেলপথ তৈরি করছে ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নির্মাণ সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (ইরকন)। অন্যদিকে বাংলাদেশ অংশে রেলপথ নির্মাণ করছে বাংলাদেশি স্থানীয় সংস্থা।
এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮০ কোটি রুপি। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটারের জন্য প্রায় ৪৭৮ কোটি টাকা এবং ভারতের ৫ কিলোমিটার অংশের জন্য ৫৮০ কোটি রুপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এনটি