ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

অপুর নির্দেশেই চলছে শুটিং!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
অপুর নির্দেশেই চলছে শুটিং!

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। কিন্তু জনরোষ থেকে বাঁচতে অপু দেশ ছাড়লেও তার ভুত বহাল তবিয়তেই রয়ে গেছে ফেডারেশনে।

অভিযোগে জানা যায়, আত্মগোপনে থাকলেও অপুর নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপর বর্তমান কর্তারা। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে শুটিং অঙ্গণে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে সুবিধাভোগী ছিলেন জ্বালানী, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ভাইয়ের ছত্রছায়ায় শুটিংয়ে রামরাজত্ব কায়েম করেছিলেন অপু। সংগঠকদের ভয় দেখানো, অবৈধ অস্ত্র বিক্রি, পছন্দের শুটারদের বিদেশে নিয়ে যাওয়া এবং ফেডারেশনের কার্যালয়কে নিজের অফিস পর্যন্ত বানিয়ে রেখেছিলেন তিনি।  

শুটিং ফেডারেশনকে এক প্রকার স্বৈরাচারী, স্বেচ্ছ্বাচারি ও দূর্নীতিপরায়ন করে তুলেছিলেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগেই দেশ ছাড়েন অপু। কিন্তু তার নির্দেশনা অনুযায়ী গণঅভ্যুত্থানের পরদিনই হাজার হাজার শহীদদের বলিদানকে কলুষিত করতে কৌশলে শতাধিক শুটারদের এনে ক্যাম্প চালু করেন বর্তমান কর্তারা।

শুটিংকে নিজের কব্জায় রাখতে বিদেশে বসেই নানা কৌশল ও নির্দেশনা দিতে থাকেন অপু। অভিযোগ রয়েছে, অপুর ডানহাত লে. কর্ণেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সোহেলকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং ১৮ সেপ্টেম্বর লোক দেখানো এক সভার মাধ্যমে সিনিয়র সহ সভাপতি আ ন ইসতিয়াক আহমেদ বাবুলকে সভাপতি করা হয়। যাতে অপু ফেডারেশনে তার নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন।  

২০০৮ সালে কারসাজির মাধ্যমে সাধারন সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেওয়া বাবলু ফেডারেশনের শতকোটি টাকার জমি (রাজউক বরাদ্দ) নন্দনের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ইন্তেখাবুল হামিদের অন্যতম দোসর মোস্তাক ওয়াইজ। বিগত আট বছরে দলের সঙ্গে বিদেশে যাওয়াসহ সকল রকম সুবিধা ভোগকারীদের অন্যতম একজন। চলচ্চিত্র জগতের প্রয়াত নক্ষত্র নায়ক সালমান শাহর স্ত্রী সামিরার দ্বিতীয় স্বামী এই মোস্তাক ওয়াইজ।

অভিযোগ রয়েছে, স্ত্রী সামিরার বন্ধু ফেডারেশনের মহাসচিব অপুর সহযোগিতায় নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে প্রথমে জিএম এবং পরে কমিটির পদে ঢুকে যান মোস্তাক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংগঠক বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর ক্যাম্প চালু রেখে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের রক্তের প্রতি বেইমানী করেছেন শুটিংয়ের কর্মকর্তারা। শুটিং সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ মোস্তাক ওয়াইজ অপু-সামিরার বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে ফেডারেশনে চট করে ঢুকে এখন তাদের দোসরে পরিণত হয়েছেন। বলতে গেলে গত আট বছরে যাচ্ছেতাই ভাবে চালানো হয়েছে ফেডারেশনকে। শুটিংকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। এখনো চলছে অপু-সোহেল-মোস্তাক-বাবলু গংদের রাজত্ব। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।