চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের অর্ধলাখ জেলে সাগরে মাছ শিকার করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞায় সহযোগিতা পান মাত্র ২৭ হাজার ২৩ জন।
কর্মকর্তারা বলছেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আরও ১৬ হাজার জেলেকে নিবন্ধনের ফাইল গেছে মন্ত্রণালয়ে। তাদের নিবন্ধন হলে আরও প্রায় ৮ হাজার জেলের ফাইল যাবে মন্ত্রণালয়ে। সব জেলেই নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের সহযোগিতা পাবে। মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময়ে চট্টগ্রামের ২৭ হাজার ২৩ জন জেলের প্রতিটি পরিবার ৮৬ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) থেকে শুরু হয়েছে চাল বিতরণ।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া চট্টগ্রাম জেলার ২৭ হাজার ২৩ জন জেলে পরিবারের পাশে থাকছে সরকার। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি জেলে পরিবার ৮৬ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। প্রথম কিস্তিতে ৫৬ কেজি এবং পরের কিস্তিতে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আরও ২৪ হাজার জেলে পরিবারকে সরকারের সহযোগিতার আওতায় নিয়ে আসা। নতুন ১৬ হাজার জেলে পরিবারের নিবন্ধনের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়েছি। এই পরিবারগুলো নিবন্ধন পেলে পরের বার আরও আট হাজারের ফাইল পাঠানো হবে।
বছরে এই ৬৫ দিনের বাইরে মা ইলিশ শিকারে ২২ দিন, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা, মার্চ-এপ্রিল দুই মাসে অভয়ারণ্যে যেতে মানাসহ মোট ১৪৭ দিন নিষেধাজ্ঞা পালন করতে হয় সারাদেশের বিভিন্ন এলাকার জেলেদের।
দেশের মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও মাছের বংশবিস্তারে ২০১৫ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছর ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। শুরুতে শুধু ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকলেও ২০১৯ সালে সব ধরনের নৌ-যানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
বিই/টিসি